প্রান্তজন রিপোর্ট: ‘রক্তদানে হয় না ক্ষতি, চোখ তুলে রাখ চক্ষের জ্যোতি’— এ প্রতিপাদ্য নিয়ে নাটোরে পালিত হলো জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০২৫। শনিবার সকাল ১০টায় নাটোর সদর হাসপাতাল চত্বরে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের আয়োজনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি ও ফটোসেশন অনুষ্ঠিত হয়। পরে হাসপাতালের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলার কনফারেন্স রুমে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ মুক্তাদির আরেফীন, সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. সৌরভ আলী সম্রাট, ডা. আনিসুজ্জামান পিয়াস, এবং চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. ক্লারা সালমিন সাত্তারসহ অন্যান্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের দেশে থ্যালাসেমিয়া, রক্তশূন্যতা ও নানা রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় রক্তের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তাই সুস্থ, প্রাপ্তবয়স্ক ও উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়মিত রক্তদান করতে হবে এবং অন্যদেরও এ কাজে উৎসাহিত করতে হবে। রক্তদানের আগে দাতার হিমোগ্লোবিন পর্যাপ্ত আছে কি না তা নিশ্চিত করা জরুরি। একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রক্তদান এড়ানোরও পরামর্শ দেন তারা। এ ছাড়া মরণোত্তর চক্ষুদান বিষয়ে বক্তারা বলেন, একজন মৃত মানুষের চোখের কর্ণিয়া আরেকজন অন্ধ মানুষকে দৃষ্টিশক্তি উপহার দিতে পারে। মৃত্যুর এক ঘণ্টার মধ্যে কর্ণিয়া সংগ্রহ করা সম্ভব এবং এটি ছয় ঘণ্টার পর ব্যবহারযোগ্য থাকে না। তাই জীবিত অবস্থায় সবাইকে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করতে অনুপ্রাণিত করা প্রয়োজন। আলোচনা সভা শেষে দুইজন রক্তদাতার কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।



