বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: বড়াইগ্রামে পিবিআই পুলিশের পরিচয়ে মাসুদ রানা (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্য দিবালোকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রোববার শেষ বিকালে দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার উপজেলার জোনাইল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। মাসুদ রানা উপজেলার জোনাইল চকপাড়া গ্রামের আবু বকর মুনসীর ছেলে। তিনি একটি বেভারেজ কোম্পানীর স্থানীয় পরিবেশক। এ ঘটনায় আটকরা হলেন-জোনাইল ইউনিয়নের বোর্ণি গ্রামের জর্জ রোজারিও’র ছেলে চয়ন রোজারিও (৩৫) এবং পারবোর্ণি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুল মতিন (৩৪)।
মামলার নথি ও ভূক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়িক লেনদেনের সূত্রে তিনি চয়ন রোজারিও’র কাছে ২২ লাখ ৫৮ হাজার ৩০০ টাকা পান। এ টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দিলে চয়ন তাকে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের বড়াইগ্রাম শাখার একটি ব্যাংকের চেক দেন। সম্প্রতি তিনি টাকা তোলার জন্য চেকটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দেন। কিন্তু তার হিসাব নম্বরে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেকটি ডিজঅনার হয়। পরে তিনি ব্যাংক থেকে ডিজঅনার সনদপত্র নিয়ে টাকা আদায়ের জন্য চয়নকে উকিল নোটিশ পাঠান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চয়ন তাকে নানা হুমকি দিয়ে আসছিলেন। শনিবার মাসুদ তার নিজ দোকান মেসার্স মাসুদ এন্টারপ্রাইজে বসেছিলেন। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি দোকানে ঢুকে নিজেদেরকে পিবিআই পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার ব্যাপারে অভিযোগ আছে বলে জানায়। এরপর তারা মাসুদকে মাইক্রোতে তুলে নিয়ে চলে যায়। মাইক্রোর ভেতরে ঢোকার পর তিনি চয়ন রোজারিওকে বসা অবস্থায় দেখতে পান। এরপর মাইক্রোর ভেতরে দীর্ঘ সময় নির্যাতনের পর তারা মাসুদের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ফাঁকা স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক সই করিয়ে নেয় এবং আগামী বৃহষ্পতিবারের মধ্যে চেকটি ফেরৎ না দিলে তার প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। তবে অভিযুক্ত চয়ন রোজারিও’র মামা বার্নার্ড রোজারিও বলেন, চয়নই মাসুদের কাছে সাড়ে ১২ লাখ টাকা পাবে। কিছুদিন আগে মাসুদ কৌশলে চেকটি হাতিয়ে নিয়ে পাওনা টাকা না দেয়ার জন্য মামলা দিয়ে নাজেহাল করছে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, পিবিআইয়ের পরিচয়ে মাসুদকে অপহরণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। দু’জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।