গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার পত্রিকা হকার রজব আলী (২৭) এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। জীবন থাকতেই যেন সে মরা কংঙ্কাল। তার বাম পাশের কিডনি অপারেশন করে ১৫টি পাথর বের করার পর আর সুস্থ হতে পারছেনা। গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় মধ্যপাড়া মহল্লায় অন্যের বাড়িতে রজবের বেড়ে ওঠা। পিতা আফসার আলী রজবের জন্মের পর নিখোঁজ। আর অভাবক্লিষ্ট মা জয়নব বেগম জীবন বাঁচাতে অন্যের ঘরনি এখন। পত্রিকা বিক্রি করে কোনোমতে রজব আলীর জীবন চলত। কিন্তু অসুস্থতার কারনে ছয়মাস ধরে রজব অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। এই করুন অবস্থায় দুইমাস আগে তার স্ত্রী আশা তাকে তালাক দিয়ে চলে যায়। তারপর ওই বৃদ্ধ মা জয়নবই তার শেষ ভরসা।
জানা যায়, চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী রাজশাহীর রাফি হাসপাতালে রজবের অপারেশন করা হয়। ওই হাসপাতালের সার্জন (ইউরোলজি) ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, রজবকে ঝুঁকিমুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তাকে সুস্থ্য করতে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। রজবের মা জয়নব বেগমের ধারনা অপারেশনে কোনো ত্রুটি ছিল। যার কারণে রজবের করুন অবস্থা। সে কিছুই খেতে পারছেনা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ফ্রীতে রাখলেও নার্সরা অসহায় রজবকে কোনো প্রকার সেবা দিতে চায় না। ডা. গোলাম মোস্তফা সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে এসে রজবকে দেখলেও তার সুস্থ্যতার ব্যাপারে কোনো আশ্বাস দেননা। এভাবে সাড়ে ৪ মাস ধরে রজবকে নিয়ে রাফি হাসপাতালে পড়ে আছে তার মা। ডাক্তারকে বারবার চাপ দিলে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। এতে রজবের মা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। না জানি তার নাড়িছেঁড়া ধন রজব আলীর অকালে করুন মৃত্যু ঘটে।
অনেকের ধারনা রজবকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা সেবা দিলে সে বেঁচে যাবে। কিন্তু রজবকে দেখভাল করা এবং তার চিকিৎসার খরচ যোগানোর সামর্থ নেই তার মায়ের। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় চড়া সুদে ঋণ করেছেন তিনি। সমাজের সহৃদয় ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন অসহায় রজবের মা জয়নব বেগম। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- মো. রজব আলী (সঞ্চয় হিসাব নং- ৪৯০৪৯০১০১০১০৯), সোনালী ব্যাংক, চাঁচকৈড় শাখা, গুরুদাসপুর, নাটোর।






