প্রান্তজন রিপোর্ট: নাটোর পৌরসভায় উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য মঞ্জুর বিশ্বব্যাংকের সাড়ে তিনশো কোটি টাকার কোন অস্তিত্ব নেই বলে দাবী করেছেন আসন্ন নাটোর পৌরসভা নির্বাচনে নারিকেল গাছ প্রতীকে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ এমদাদুল হক আল মামুন। তিনি বলেন, এই টাকা পৌরসভার উন্নয়নে বরাদ্দ হয়েছে, এমন কোন প্রমাণ দিতে পারলে, বরাদ্দজনিত আর্থিক সুবিধা গ্রহণের অভিপ্রায়ে তিনি পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন কি না, সে প্রশ্নের উত্তর দেবেন। পাশাপাশি, পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজের জন্য কিভাবে অর্থ বরাদ্দ মঞ্জুর করাতে হয়, সে বিষয়েও ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ ধারণা দিয়েছেন শেখ এমদাদুল হক আল মামুন। শনিবার (৮ জানুয়ারী) নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ এমদাদুল হক আল মামুন। তিনি অভিযোগ করেন, গত কয়েকদিনে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচারণা চলাকালে আওয়ামী লীগের কর্মী পরিচয়ে তাকে হুমকি-ধামকি দেয়া হয়েছে৷ এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের নিকট অভিযোগ জানিয়েও তিনি প্রতিকার পাননি। এসময় ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য তিনি দশ দফা দাবী তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন শেখ এমদাদুল হক আল মামুন। তবে অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান তিনি।
নিজেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দাবী করলেও প্রশাসনের নিকট পেশ করা দশ দফা দাবীর প্রথমটি ছিলো তার কোন কর্মী সমর্থকদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী হয়রানি ও গ্রেফতার করতে পারবে না। এছাড়া আটক কর্মী ও সমর্থকদের মুক্তি দাবী করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া সত্বেও তিনি কোন দলের আটক কর্মীদের মুক্তি চেয়েছেন, এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। নাটোর পৌরসভায় বিশ্বব্যাংকের বরাদ্দের সাড়ে তিনশো কোটি টাকার জন্য তিনি হঠাৎ করে মেয়র পদে নির্বাচন করেছেন, সদ্য প্রত্যাহার হওয়া বিএনপি প্রার্থী জিল্লুর রহমান খান চৌধুরির এমন দাবীর ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে শেখ এমদাদুল হক আল মামুন বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কোন উত্তর দেবো না।’
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র উমা চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে শেখ এমদাদুল হক আল মামুন বলেন, ‘আমি পাঁচ বছর মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করেছি। অনেক কাজ করেছি। তিনিও ছয় বছর ধরে মেয়র। তিনি কি করেছেন? তিনি বরাদ্দ আনতে পারেননি, কাজও করতে পারেননি। কিভাবে বরাদ্দ আনতে হয় তা আমি জানি। বরাদ্দ আনার যোগ্যতা সকলের থাকে না।’ গত বছর স্থগিত হওয়া পৌর নির্বাচনে কেন অংশ নেননি, এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ এমদাদুল হক আল মামুন বলেন, ‘এখন জনগণ চাচ্ছেন আমাকে। তাই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে অংশ নিচ্ছি।