স্টাফ রিপোর্টার: ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের লাঠিচার্জে গুরুতর আহত হন নাটোরের বড়াইগ্রামের তরুণ ছাত্রনেতা মো. রিমন মোল্লা। আন্দোলনের এক বছর পার হলেও তিনি কোনো সরকারি কিংবা দলীয় সহায়তা পাননি।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বড়াইগ্রামের বনপাড়ায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে রিমন মোল্লা বলেন, “তারেক রহমানের নির্দেশে আমি ঢাকার রাজপথে নেমেছিলাম। আন্দোলনের সময় মাথায় লাঠির আঘাতে আমি রক্তাক্ত হই। চিকিৎসার পরেও আজও প্যারালাইসিসের মতো সমস্যায় ভুগছি। অথচ সরকার বা দল কোন পক্ষ থেকেই কোনো খোঁজ নেওয়া হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি পুরস্কার বা দান চাই না। চাই, যারা আন্দোলনে জীবন দিয়েছে, যারা পঙ্গু হয়েছে, নিখোঁজ বা পরিবার ছাড়া হয়ে গেছে তাদের পাশে যেন রাষ্ট্র ও দল দাঁড়ায়।” সংবাদ সম্মেলনে রিমন তার পরিবারের রাজনৈতিক ত্যাগ-তিতিক্ষার ইতিহাস তুলে ধরেন তিনি। রিমনের ভাষ্য, “আমার পরিবার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার আদর্শে বিশ্বাসী। সেই বিশ্বাস থেকে আন্দোলনে শরিক হয়েছিলাম। কিন্তু আজ রাষ্ট্র ও দল আমাদের ভূমিকাকে মনে রাখেনি।”
সংবাদ সম্মেলনে রিমন মোল্লা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া আহত, নিখোঁজ ও ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের একটি পুর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে তাদের পুনর্বাসনের দাবি জানান। তিনি বলেন, “আমি চিরকাল এ দলের একজন কর্মী ছিলাম, থাকবও। কিন্তু যারা আজ নিঃস্ব, যারা আন্দোলনের মূল্য দিয়েছে জীবন দিয়ে তাদের দায়িত্ব দল ও জাতিকে নিতে হবে।” ২০২৪ সালের জুলাই মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হয়। বহু শিক্ষার্থী আহত ও গ্রেফতার হন। সেই আন্দোলনের এক বছর পার হলেও অধিকাংশ অংশগ্রহণকারী আজও চিকিৎসা, স্বীকৃতি ও পুনর্বাসন থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ রয়েছে।