স্টাফ রিপোর্টার ॥
বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডে কালিকাপুর পশ্চিমপাড়া মসজিদ দখলের নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বাদ জুম্মা দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় মুসল্লিদের সমন্বয়ে গড়ে উঠা কালিকাপুর পশ্চিমপাড়া মহল্লার মসজিদটি শান্তিপূর্ণ ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল। গত জুন মাসে সকলের প্রত্যক্ষ মতামতের ভিত্তিতে নান্নু সরকারকে সভাপতি ও মামুন আলীকে সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়। পাঁচ আগষ্টের পরিবর্তিত পরিবেশে বনপাড়া পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান কবিরাজ, সাধারণ সম্পাদক দুলাল কবিরাজ, পৌর সেচ্ছসেবক দলের যুগ্মআহ্বায়ক নুর আলম, বনপাড়া পৌরসভার সাবেক মেয়রের পিএস আমিন কবিরাজ চলমান কমিটি বাতিলসহ মসজিদের কর্তৃত্ব নিতে মরিয়া হয়ে উঠেন। এতে সাধারন মুসল্লিদের সমর্থন না পেয়ে বৃহস্পতিবার নিজেরা বসে একটি পটেক কমিটি করেন।
শুক্রবার নামাজ শেষে নুর আলমকে সভাপতি, মামুন মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষনা দেয় সিদ্দিক কবিরাজ। একই সাথে নুর আলম ঘোষনা দেন, কোন আওয়ামীলীগের লোক মসজিদে আসতে পারবেন না। ঘোষিত কমিটি এবং ওই ঘোষনার প্রতিবাদে উত্তেজিত হয়ে উঠেন মুসল্লিরা। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাক-বিতন্ডা ও ধাক্কা-ধাক্কি শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মুসল্লি বলেন, সিদ্দিক কবিরাজ গং মেঠেল শ্রেণির একটি অকেজো জমি কিনেছেন। ওটা মসজিতের নামে গোছিয়ে দিতেই কমিটি নিয়ে এমন তোরজোড়। কেননা এখন যারা কমিটিতে আছে তারা সকলেই মুসল্লি। নিয়মিত নামাজ পড়েন। আর যাদেরকে কমিটি করা হচ্ছে তাদেরকে শুক্রবার ছাড়া মসজিদে পাওয়া যায় না।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শরল মুরমু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে উত্তেজন শুরু হয়েছিল। পরে ওই কমিটি ঘোষনা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। এখন পরিবেশ শান্ত রয়েছে।**