8.9 C
New York
Friday, August 8, 2025
No menu items!
Homeশীর্ষ সংবাদঅবশেষে টরোন্টোতেই ভিডিওতে ধরা পড়ল বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরী

অবশেষে টরোন্টোতেই ভিডিওতে ধরা পড়ল বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিজ হাতে গুলি করে খুন করা এস এইচ এম বি নূর চৌধুরীকে নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করেছে কানাডিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিবিসি। যে প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীর দেখা মিলেছে। সিবিসি টেলিভিশিনের জনপ্রিয় অনুসন্ধানী বিভাগ ‘দ্যা ফিফথ স্টেট’ এ ‘দ্যা এসাসিন নেক্সট ডোর’ শিরোনামের ৪২ মিনিটের এই প্রতিবেদনটি প্রচারিত হয় শনিবার (বাংলাদেশ সময়) সকাল ৮টায়।
প্রতিবেদনে নূর চৌধুরীর কানাডায় পালিয়ে যাওয়া, ২৭ বছর সেখানে থেকে যাওয়া এবং খুনের অভিযোগে হওয়া শাস্তি বাস্তবায়নে তাকে বাংলাদেশের ফেরত চাওয়া বিষয়গুলো উঠে এসেছে। কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার বলেছেন, ‘এই একটি ইস্যু বাদে কানাডার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। কেবল বাংলাদেশি হাই কমিশনার হিসেবে নয় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ হিসিবে আমি চাই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক।’
নূর চৌধুরী কোথায় আছেন, কি করছেন, এ নিয়ে জানা থাকলেও তথ্য আকারে সামনে আসেনি তেমন। তার অবস্থান নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরির প্রচেষ্টা ছিলো। ধারণা করা হচ্ছে, এই রিপোর্ট প্রচারের মধ্য দিয়ে সেই ধোঁয়াশা কেটে যাবে এবং কানাডিয়ান সাধারণ জনগণ তাদের পাশের বাসায় থাকা ভয়ানক এই খুনি সম্পর্কে পরিষ্কার একটি ধারণা পাবে।
প্রতিবেদনে টরন্টোর নিজ ফ্লাটের ব্যালকনীতে নূর চৌধুরীকে এক ঝলক দেখানো হয়। গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীকে ড্রাইভিং সিটে বসে থাকা অবস্থাতে ধরতে পারেন প্রতিবেদক। কিন্তু কথা না বলে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে কোনমতে কেটে পড়েন তিনি। দীর্ঘদিন অনুসরণ করে খুঁজে বের করেছে ফিফথ স্টেটের অনুসন্ধানী দলটি।
বঙ্গবন্ধুকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যার পর কূটনীতিক হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালন করেন নূর চৌধুরী। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে তিনি পালিয়ে প্রথমে আমেরিকা, পরে কানাডায় ঢোকেন দর্শনার্থী হিসেবে। এরপর ১৯৯৯ সালে শরণার্থী হিসেবে থেকে যাওয়ার আবেদন করলেও কানাডা সরকার তা নাকচ করে দেয়। আপিল করেও হেরে যান নূর চৌধুরী। ২০০৯ সালে তাকে কানাডা থেকে নূরকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কানাডিয়ান সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু বাংলাদেশে পাঠালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে— এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে ২০১০ সালের দিকে সরকারের কাছে ‘প্রি রিমুভাল রিস্ক এসেসমেন্ট’র আবেদন করেন নূর চৌধুরী। যেহেতু কানাডা মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করে না, সেহেতু এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে কানাডায় মুক্ত জীবন যাপন করছেন তিনি।

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments