8.9 C
New York
Friday, August 8, 2025
No menu items!
Homeআন্তর্জাতিকপাত্তা পেল না মার্কিন প্রস্তাব, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি

পাত্তা পেল না মার্কিন প্রস্তাব, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শর্তহীন সংলাপ পাত্তা পেল না। বুধবার সন্ধ্যায় ঘোষণা হয়ে গেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল। আগামী ৭ জানুয়ারি রোববার হবে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর আর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচন কমিশন প্রতীক বরাদ্দ করবে ১৮ ডিসেম্বর। বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ভোটের তফসিল ঘোষণা করেন।
এদিকে, ভোট ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ঢাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। তফসিল ঘোষণা ঠেকাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছিল। যদিও পুলিশের বাধায় শান্তিনগর গিয়ে শেষ হয়ে তাদের মিছিল। নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি এবং জামায়াতও মাঠে নামতে পারে বলে, আশঙ্কা পুলিশের। সে কারণে কমিশনের ভবন ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা গত দু-আড়াই বছর যাবৎ সক্রিয়। তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় বলে বারে বারে বলার চেষ্টা করলেও মার্কিন প্রচেষ্টাকে আওয়ামী লীগ হস্তক্ষেপ হিসাবেই দেখেছে। তিনদিন আগে শেষ প্রচেষ্টা হিসাবে শর্তহীন আলোচনায় বসতে দেশটির প্রধান তিন দলকে চিঠি দেন আমেরিকার দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বুধবার সকালে সেই চিঠির কপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াবদুল কাদেরের হাতে তুলে দেন ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। আওয়ামী লীগ নেতা জানিয়ে দেন, ‘ভোট ঘোষণার আর কয়েক ঘণ্টা বাকি। এখন আর আলোচনার অবকাশ নেই।’
লু একই চিঠি বিরোধী দল বিএনপি এবং জাতীয় পার্টিকেও দিয়েছেন। জাতীয় পার্টি আলোচনায় বসার প্রস্তাবে সায় দিলেও বিএনপি টুঁ শব্দটি করেনি। আসলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রকের বিগত দু-আড়াই বছরের তৎপরতা বিএনপি’কে স্বস্তি দিলেও ভোটের মুখে ডোনাল্ড লু’র চিঠি বিরোধী দলটির জন্য প্রবলভাবে অস্বস্তির কারণ হয়েছে। খালেদা জিয়ার দল শর্তহীন আলোচনার প্রস্তাবে বিপাকে পড়েছে। তারা গোড়া থেকেই বলে আসছে, হাসিনা সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোট চায়। এই দাবিকে পাশ কাটিয়ে তারা ভোটে আলোচনায় বসবে না। মার্কিন প্রস্তাব মানলে তাদের সেই এক দফা দাবি বর্জন করতে হত, যা নিয়ে দলটি কয়েকমাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
স্বভাবতই ভোট ঘোষণার পর আবারও আলোচনার বিএনপি। রাজপথের বিরোধী দল শেষ পর্যন্ত ভোটে অংশ নেবে নাকি বয়কটের পথে হাঁটবে তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। যদিও এখনও পর্যন্ত ভোট বয়কটের সম্ভাবনাই প্রবল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments