স্টাফ রিপোর্টার: বিভিন্ন কারণে নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) আসনটি সবসময় আলোচনায় থাকে। এ আসনটিতে বিএনপির ভোট বেশি হলেও গত সংসদ নির্বাচনে ভোটে নির্বাচিত হয়েছেনে শফিকুল ইসলাম শিমুল। তবে এবার বর্তমান এমপির একক আধিপত্যে ও ভোটের টানে দল থেকে এ আসনে আরো অন্তত আট জন মনোনয়ন চাইবেন।
তাদের মধ্যে সবচেয়ে তরুণ ও ক্লিন ইমেজের নেতা প্রয়াত হানিফ আলী শেখের ছোট ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. এম মালেক শেখ। ৪৬ বছর বয়সী এ নেতা ২০০১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করে নাটোর জজ কোর্টের আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত আছেন। বর্তমানে তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। বাবার মতো বড় ভাই প্রয়াত এড. হানিফ আলী শেখের হাতেগড়া এই নেতা ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। এখন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছে। জড়িত আছেন এলাকার বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে।
প্রসঙ্গক্রমে এড. এম মালেক শেখ বলেন, সাধারণ মানুষের সেবা করার ইচ্ছা অনেক দিন আগে থেকেই আছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে পূর্বপুরুষদের কাজ করতে দেখেছি। তখন থেকেই আমার নির্বাচন করার আকাঙক্ষাটা প্রবল। কারণ এলাকার মানুষের জন্য কিছু করতে হলে নির্বাচিত হতে হয়। জনপ্রতিনিধি হলেই শুধু সাধারণ মানুষের মনের ইচ্ছাপূরণ করা ও তাদের জন্য কাজ করার প্রচুর সুযোগ তৈরি হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। জেলায় এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের আমলনামা ইতোমধ্যে যাচাই বাচাই শুরু করেছে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ও এনজিও প্রতিষ্ঠান। যার ইমেজ ভালো, জনগণ যাকে চায় তৃনমুল নেতা কর্মিদের যার সম্পর্ক, এবার তাকেই মনোনয়ন দিবেন প্রধানমন্ত্রী। আর এর সবগুলোই আমার আছে তাই শতভাগ আশাবাদী মনোয়নের জন্য। মনোনয়ন না দিলে যাকে দিবে তার জন্যও কাজ করবেন বলে জানান এই তরুণ নেতা।
তিনি বলেন, আমি দলে পরীক্ষিত সৈনিক। কোনোদিন কোন অন্যায় করিনি। কোন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি। জনগণের সুখ দুঃখে সব সময় পাশে থেকেছি। আর একারণে মনেকরি জনগণ আমাকে ভোট দিবে। এমপি হলে তরুণ ও বেকারদের নিয়ে কাজ করবো। কারণ তরুণদের সব কাজে আছে ইচ্ছাশক্তি। আর দেশ আজ তরুণদের ওপরে ভর করেই এগিয়ে যাচ্ছে।
এড. এম মালেক শেখ বলেন, দেশের সাধারণ জনগণের বিভিন্ন বিষয়ে মতের পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু মতের পার্থক্য যদি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে হয়, তাহলে আমার দ্বিমত আছে।



