8.9 C
New York
Friday, August 8, 2025
No menu items!
Homeবিশেষ সংবাদড. ইউনূস ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে কোন চিঠি দেয়নি তুরস্ক

ড. ইউনূস ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে কোন চিঠি দেয়নি তুরস্ক

প্রান্তজন ডেস্ক: এবার প্রধানমন্ত্রীকে তুরস্কের চিঠি’ শিরোনামে বাংলাদেশের জাতীয় একটি দৈনিক পত্রিকা খবর প্রকাশ করেছে। যার বিবরণে দেখা যায়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে চিঠি লিখেছে তুরষ্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। খবরে লেখা হয় ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক অন্যায় আর ভিত্তিহীন মামলা পরিচালনা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। চিঠির সুত্র হিসাবে ড. ইউনুসের ভেরিফাইড ফেইসবুক পোস্টের কথা উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু ড. ইউনুসের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ এবং টুইটার খুঁজে পাওয়া যায় যে, পত্রিকায় তথ্য পুরোপুরি ভুল। তুরষ্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন কোন চিঠি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে লেখেন নি। তুরষ্কের “জাস্টিস এন্ড ডেভলপমেন্ট” পার্টির এক সদস্য প্রফেসর ড. আজিজ আকগুল এই চিঠিটি লেখেন তুরষ্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের উদ্দেশ্যে।
তুরষ্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে লেখা চিঠিতে ড. আজিজ ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির প্রশংসা করেন এবং তুরষ্কে ড. ইউনুসের মডেলে পরিচালিত ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচিতে ১.৬ বিলিয়ন টার্কিস লিরা বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ সরকার তাকে অহেতুক হেনস্থা করছে। একইসাথে চিঠির সাথে ১০৫ জন নোবেল লরিয়েটের স্বাক্ষরসহ বিশ্বনেতাদের লেখা বিবৃতি সংযুক্তি হিসাবে দেয়া হয়।
উক্ত চিঠির সাথে বাংলাদেশ সরকার বা তুরষ্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোন যোগসূত্র নেই। তুরস্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানকে উদ্দেশ্য করে তুরস্কের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির একজন সদস্য চিঠি দিয়েছেন যেনো ড ইউনূস ইস্যুতে তুরস্ক ইউনূসের পাশে দাঁড়ায় এবং বাংলাদেশকে যেনো তুরস্ক কোন বার্তা দেয়।
বিবৃতি প্রত্যাহারে ওবামা ও হিলারিদের উদ্দেশে চিঠি
নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের পক্ষে ১৮৩ জনের দেয়া বিবৃতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিন্টনসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই চিঠির কপি জাতিসংঘ মহাসচিব এবং ড. ইউনূসকেও সংযুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী বৃহস্পতিবার ই-মেইলযোগে এই চিঠি পাঠান। তারা হলেন- আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার প্রশান্ত ভুষণ বড়ুয়া, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার ও মোহাম্মদ ইমরুল কায়েস খান।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতে চলমান মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে বারাক ওবামা ও হিলারি ক্লিন্টনসহ নোবেলজয়ীদের দেয়া বিবৃতি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি অযাচিত হস্তক্ষেপ।’
বলা হয়েছে, ‘একটি দেশের অভ্যন্তরীণ আদালতে চলমান বিচার বাধাগ্রস্ত করা আন্তর্জাতিক আইন এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইন তথা সংবিধানের পরিপন্থী। এটি আদালত অবমাননার শামিল। চলমান মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে এ ধরনের একপাক্ষিক বিবৃতি প্রদান অন্য বিচার প্রার্থীদের জন্য বৈষম্যমূলক ও হয়রানি।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘ওনাদের মতো বিজ্ঞজনদের কাছ থেকে একটি দেশের অভ্যন্তরীণ মামলা স্থগিতের জন্য এ ধরনের একপাক্ষিক বিবৃতি অপ্রত্যাশিত, অনাকাঙ্ক্ষিত এবং সারা বিশ্বের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করবে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
‘এছাড়া শ্রমজীবী মানুষের আইনসঙ্গত অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে তাদের বিবৃতি বাধা হয়ে দাঁড়াবে এবং তাদের এই বিবৃতি একটি নেতিবাচক উদাহরণ হিসেবে ব্যবহৃত হবে।’
অবিলম্বে বিবৃতি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের আদালতে চলমান কার্যক্রম নিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিবৃতি যেন আর না দেয়া হয়।

 

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments