• গোলাম রাব্বানী, স্টাফ রিপোর্টার 

মহাগ্রন্থ পবিত্র আল-কোরআন মহান আল্লাহুর বাণী ও মুসলমানদের সর্বশেষ ও চুড়ান্ত ধর্ম গ্রন্থ, যা শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর উপর নাযিল হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক নিজেই পবিত্র কোরআন এর সংরক্ষক। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি (আল্লাহ) কোরআন অবতীর্ণ করেছি আর অবশ্যই আমি এর সংরক্ষক। (সুরা হিজর, আয়াত-০৯)। এরই দৃষ্টান্ত স্বরুপ মাত্র ৮ বছর বয়সী শিশু মিথিলা মিম মাত্র ১০ মাসে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছেন।

শিশু মিথিলা মিম নাটোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক মিলন হোসেনের মেয়ে। সে বাগাতিপাড়া উপজেলার জান্নাতুল মাওয়া কওমী মাদ্রাসা থেকে হিফয সম্পন্ন করেছে।

এতো অল্প বয়সে মিথিলা হিফয সম্পন্ন করায় এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। শিশুটির এই অর্জনে তার পরিবার, শিক্ষাদান কারি মাদ্রাসা ও গ্রামবাসী অত্যন্ত আনন্দিত। আর ভবিষ্যতে জন্য শিশু মিথিলাকে আরো উৎসাহ দিতে গ্রামবাসীর আয়োজনে দেওয়া হয় সংবর্ধনা।

সোমবার (২০মার্চ) রাতে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা স্কুল মাঠে সংবর্ধনা ও ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তেবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ওমর আলী প্রধান। আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হাকিম প্রধান, মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা আবু তালেব, স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল আজিজ সহ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সর্বস্তরের গ্রামবাসী।

মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা আবু তালেব বলেন, অত্যন্ত মেধাবী এই শিশু মেয়েটি নূরানী, নাজেরা পর্যায়ক্রমে মাত্র ১০ মাসে হেফয সম্পূর্ণ করেছে। তিনি বলেন শিশুটির পরিবারিক অসচ্ছলতার কারণে বেশিরভাগ সময় মাদ্রাসা থেকেই খরচ চালাতে হতো। আর এখন মেয়েটি অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা।

গ্রামবাসীর এমন আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে শিশু মিথিলার মাদ্রাসার যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের ঘোষণা দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওমর আলী প্রধান।
এদিকে শিশু মিথিলার বাবা মিলন হোসেন তার মেয়ের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।