গোলাম রাব্বানী, স্টাফ রিপোর্টার
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার এক বছরেরও বেশি সময় পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে গত ৫ই মার্চ তারিখে। যা প্রকাশ পায় ৭ই মার্চ মঙ্গলবার।
এরই মধ্যে আজ দলের ত্যাগী, জ্যেষ্ঠ নেতাদের অবমূল্যায়ন ও পকেট কমিটি গঠনের প্রতিবাদ ও সমন্বয়ে মধ্যমে আবার নতুন করে নাম অন্তর্ভুক্তকরণের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা আওয়ামী লীগের পদ বঞ্চিত নেতারা।
বুধবার দুপুরে শহরের একটি কনভেনশন হলে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে পূর্বের কমিটিতে বিভিন্ন পদে থাকা বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। তারা বর্তমান পূর্ণাঙ্গ কমিটির ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আপত্তি জানিয়ে নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।
সাবেক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাটোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আরিফুর রহমান মাসুম বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের দুর্দিনে রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। সেই সময় থেকে আমি দল ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পদে ছিলাম। কিন্তু বর্তমান কমিটিতে আমার জায়গা হয়নি। তিনি আরও বলেন, শহর থেকে কমিটিতে তেমন কোনো পদ দেওয়া হয়নি। সামনের দিনে আন্দোলন সংগ্রামে শহরের যেই নেতারা সামনে থেকে প্রতিরোধ গড়বে তাদের বঞ্চিত করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পূর্বের কমিটির উপ প্রচার সম্পাদক ও নাটোর জেলা পরিষদের সদস্য আলী আকবর বলেন, বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কমিটি তৈরি করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমান নেতারা কেন্দ্রে ভুল বুঝিয়ে আমাদের নাম বাতিল করিয়েছে।
বর্তমান কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক সামসুল ইসলাম বর্তমান কমিটিকে পকেট কমিটি বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ঢাকাতে বসে স্থানীয় ত্যাগী নেতাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা না করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। দলের ত্যাগী নেতাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে বর্তমান কমিটি সংকলনের দাবি জানান জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এই নেতা।
এবিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান জানান, বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে উপদেষ্টা পরিষদে রাখা হয়েছে। আর যাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। অতিতের মত হাইব্রিডদের নিয়ে কমিটি করা হয়নি।
ত্যাগী,ফ্রেশ ও তরুণ নেতৃত্বের সমন্বয়ে এবারের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান।