- স্টাফ রিপোর্টার
নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী দিয়ার নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি চলতি বছরের ৬ই জুলাই সরকার কর্তৃক এমপিওভুক্তি লাভ করে। তারপর থেকেই প্রধান শিক্ষক মোঃ খালিদ হোসেন বিভিন্ন খরচের খাত দেখিয়ে বর্তমানে পাঠদানকারী ৫ শিক্ষক’র থেকে ৪০ লাখ টাকা দাবি করেন।
এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্কুলের প্রয়োজনীয় নথিপত্র জব্দ করে বর্তমান শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করার হুমকিও প্রদান করেন অভিযুক্ত সেই প্রধান শিক্ষক। এমনটি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ৫জন সহকারী শিক্ষক। এ নিয়ে তারা জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন।
তারা হলেন সহকারী শিক্ষক (গণিত ) শামসুল ইসলাম, (সমাজ বিজ্ঞান) কুলসুম খাতুন, (শারীরিক শিক্ষা) রফিকুল ইসলাম, (কৃষি) মোঃ মাহাবুল আলম ও (ইসলাম শিক্ষা) মোঃ হযরত আলী। সহকারী শিক্ষক মাহাবুল আলম জানান,” আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনা বেতনে শ্রম দিয়ে আসছি। যখন এমপিওভুক্ত হলো তখন কি খুশি ই আমরা হয়েছিলাম। কিন্তু এই আনন্দ মাটি করে দিয়েছেন আমাদের প্রধান শিক্ষক। তার অযৌক্তিকভাবে দাবি করা এতো গুলো টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি আমাদের চাকরি বাতিলের হুমকি দেন।”
এদিকে সহকারী শিক্ষকদের থেকে ৪০ লাখ টাকা চাওয়ার বিষয়টি অকপটেই শিকার করেন প্রধান শিক্ষক খালিদ হোসেন। তিনি প্রতিবেদক’কে বলেন, “স্কুলের জমি ক্রয়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহ বিভিন্ন খাতে অনেক টাকা ঋণ রয়েছে স্কুলের। সেই টাকা পরিশোধ করতেই শিক্ষকদের থেকে এই টাকা চেয়েছি।”
তবে কি খাতে কি পরিমান টাকা ঋণ রয়েছে জানতে চাইলে তার সদুত্তর দিতে পারেননি এই শিক্ষক।
এদিকে শিক্ষকদের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঐ বিদ্যালয়ে বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) নূর আহমেদ মাছুম তদন্তে আসেন। পরে সাংবাদিকরা তার কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সবকিছু পর্যালোচনা না করে কিছু বলা ঠিক হবে না।”