স্টাফ রিপোর্টার

মোঃ সাইদ আলম পৌরসভার চকবৈদ্যনাথ এলাকার মৃত জমির উদ্দিনের সন্তান। পেশায় ব্যবসায়ী হওয়ায় লেনদেন ছিল অনেক মানুষের সাথে।

অভিযোগ পাওয়া যায় নাটোরে অন্তত হাফ ডজন মানুষের টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা এই সাইদ আলম। যার পরিমাণ প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। এ নিয়ে নাটোর থানায় তার বিরুদ্ধে পৃথক ভাবে অভিযোগও করা হয়েছে। আইনজীবীদের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে লিগ্যাল নোটিশ। 

ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন শহরের উত্তর বড়গাছার বেনু বেকারির স্বত্বাধিকারী বেলাল হোসেন। তিনি জানান, সাইদ আলমের সাথে তার মাছের ব্যাবসা, ধান, ভুট্টা, খৈল এবং আমের ব্যাবসার শেয়ার ছিল। পরবর্তীতে ব্যাবসার হিসাব- নিকাশ গরমিল লক্ষ্য করলে বছর বেশ কিছুদিন আগে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে চূড়ান্ত হিসাব-নিকাশ হয়। যেখানে তার থেকে ( সাঈদ আলম ‘৪২) সাত লাখ টাকা পাওনা হয় বেলাল। বেলাল হোসেন বলেন, ” তার থেকে পাওনা টাকা চাইতে গেলে সে আমাকে উল্টো আত্মহত্যা করে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়।” পরে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে সাইদ আলমের নিজস্ব আড়াই তলা ভবনের একটি ইউনিটির পূর্বাংশ (বেলাল হোসেন) তার নামে দিবে বলে মৌখিকভাবে সমঝোতা হয়, এমনটি দাবি করেন বেলাল হোসেন। পরে সাইদ আলম সমঝোতায় দেওয়া তার ভবনের সেই ইউনিট দখলে না দিয়েই সম্পূর্ণরূপে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানান এই ভুক্তভোগী।

বেলাল হোসেন ছাড়াও নাটোর পৌর এলাকার ডা: মিজানুর রহমান, মোঃ মিঠু, নাদিম হোসেন, মফিজ উদ্দিন সহ নাম অপ্রকাশ্য আরও অনেকে তার থেকে টাকা পাবে বলে দাবি করেন।

ভুক্তভোগী পাওনাদারদের সাথে সাইদ আলম যোগাযোগ বন্ধ করলেও তার পরিবারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলে জানান চকবৈদ্যনাথ এলাকার মোঃ মিঠু। তবে এ কথা অস্বীকার করেন সাইদ আলমের পরিবার।

এ বিষয়ে নাটোর সদর থানার পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।