লালপুর প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুরে কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে বিপ্লব হোসেন (৩৫) নামে এক কলেজ শিক্ষককে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী। বিপ্লব হোসেন উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের সাহাবাজ মন্ডলের ছেলে ও লালপুর ডিগ্রী কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক।
এদিকে মেয়ের সাথে এমন ঘটনা সইতে না পেরে ওই ছাত্রীর পিতা সোমবার দুপুরে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ রিপোর্ট লিখা পযন্ত তিনি লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, বিপ্লব হোসেন তার কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী (১৯) এক ছাত্রীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ্য সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে মেলামেশা করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার ওই ছাত্রী উপজেলার মালপাড়া গ্রামে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে ওই গ্রামের আয়াতুল্লার ছেলে জাহিদ হাসানের বাড়িতে তারা একত্রিত হয়ে আপত্তিকর অবস্থায় মিলিত হয়। এসময় তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখে এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে ওই শিক্ষকের বড় ভাই উপজেলা যুবলীগের নেতা ও শিক্ষক কাইকোবাদ ওরোফে কাইকো সহ কয়েকজন গিয়ে জোর করে বিপ্লবকে সেখান থেকে নিয়ে আসে।
বিপ্লব হোসেন বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। এর আগেও তার বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে বলে জানায় এলাকাবাসী। কিন্তু সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় ওইসব ঘটনার কোন বিচার হয় নি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে লালপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মাজেদের কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নয়। খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।