প্রান্তজন রিপোর্ট: পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে দুই ছেলে মেয়েকে রেখে ২০০৭ সালে সৌদি আরবে পাড়ি জমান হারুনুর রশিদ(৪২)। সেখানে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠাতে থাকেন। আর সেই টাকায় বৃদ্ধা মা, স্ত্রী-সন্তানদের সুখেই কাটছিল দিনকাল। হঠাৎ তার মৃত্যুর খবরে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া । হারুনুর রশিদ নাটোরের বনপাড়া পৌরসভার মালিপাড়া গ্রামের মৃত ইউছুব আলী ব্যাপারীর ছেলে। গত ২৫ শে আগস্ট সৌদি থেকে একজন ফোনে জানায় হারুন কনস্ট্রাকশনের কাজের সময় গ্যাস বিস্ফোরনে নিহত হয়েছেন। ফোন বন্ধ পেয়ে পরিবারের লোকজন তার সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করলে কেউ বলছে মারা গেছে আবার কেউবা বলছে কোম্পানি থেকে পালিয়ে গেছে। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল। গত ১৭ দিনেও হারুনের সঠিক কোন তথ্য মেলেনি। সে কি বেঁচে আছে না মরে গেছে? যদি মরেও যায় তবে তার লাশটি ফেরত চায় পরিবার। নিহত হারুনের লাশটি এখন দেশে ফেরত আনতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছেন তার পরিবার। পরিবার সূত্রে আরো জানা য়ায়, কয়েক বছর আগে ছুটি কাটিয়ে সৌদি আরবে ফিরেন হারুন। গত কোরবানির ঈদে একবারে দেশে চলে আশার কথা ছিলো তার। নিহতের পরিবার আরো জানায়, হারুন প্রায় ১৫ বছর ধরে সৌদি আরবের আভকিক শহরে সাদ আলি আল এশা নামে একটি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। এদিকে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সৌদি সরকারের সাথে সমন্বয় করে দ্রুত লাশটি দেশে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানান বনপাড়া পৌরসভার মেয়র কে এম জাকির হোসেন।