বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় জাহিদুল ইসলাম (১৭) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী খুন হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলার কাঁকফো গ্রামের কালারা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার নাক-মুখে রক্ত লেগেছিল। প্রেম ঘটিত কারণেই এই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ একই স্কুলের নবম শ্রেণী পড়–য়া এক ছাত্রীকে আটক করেছে। নিহত জাহিদুল ইসলাম ওই গ্রামের রাশেদুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাহিদুল ইসলাম নাটোর সদরের পীরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখায় মেকানিক্যাল ট্রেড থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো। সে নাটোর সদরের কাঁঠালবাড়িয়া এলাকায় তার নানার বাড়ি থেকে পড়াশোনা করতো। শনিবার বিকেল তিনটার দিকে প্রতিবেশী একজন কে রক্ত দেওয়ার কথা বলে সে নানার বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। রোববার সকালে কৃষকেরা মাঠে কাজে যাওয়ার সময় তার বাবার বাড়ি কাঁকফো এলাকায় কালারা ব্রিজ সংলগ্ন জমিতে পড়ে থাকতে দেখতে পায়। খবর পেয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানা পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে। জাহিদুলের চাচা জাফিরুল ইসলাম জানান, গত প্রায় এক বছর থেকে সে নানার বাড়ি থেকে লেখা পড়া করতো। শনিবার রাতে খবর পাওয়া যাচ্ছে না শুনে জাহিদুলের মোবাইল নম্বরে বার বার কল দিলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। রাতেই বিভিন্ন আতœীয়-স্বজন ও তার বন্ধুদের নিকট খোঁজ খবর নিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। রোববার সকালে মাঠের মধ্যে লাশ পাওয়ার কথা শুনে সেখানে গিয়ে তিনিই ভাতিজার লাশ সনাক্ত করেন। বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রেম ঘটিত বিষয়সহ আরো দুএকটি বিষয়কে সামনে রেখে তারা তদন্ত শুরু করেছেন। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পীরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, জাহিদুল ইসলাম নারী ঘটিত বিষয়েই হত্যার শিকার হয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসিন বলেছেন, এটি একটি হত্যাকান্ড। লাশের নাক-মুখে রক্তসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সিআইডির প্রাথমিক তদন্ত শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে হত্যা মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।