সিংড়া প্রতিনিধি: নাটোরের সিংড়ায় বিয়ের দাবিতে আজ তিন দিন ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম রবিন খান (২৬) নামে এক প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন রিতা খাতুন (২৪) নামে এক তরুণী। সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুর থেকে উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের নলখোলা গুনাইখারা গ্রামে জিন্নোত খানের ছেলে রবিন খানের বাড়িতে অনশনে অবস্থান নেয় ওই তরুণী। প্রেমিক রবিন খান উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের নলখোলা গুনাইখারা গ্রামে জিন্নোত খানের ছেলে। তরুণী রিতা খাতুন রাজশাহী জেলার মতিহার উপজেলার মেয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমিক রবিনের সঙ্গে রিতা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সুবাদে প্রেমিক রবিন ওই তরুণীর বাড়িতে কয়েকবার বেড়াতেও গিয়েছিল। পরে ওই তরুণীর বাবা-মাকে বিয়ের আশ্বাস দেন রবিন। এক পর্যায়ে বিয়ের কথা বলতেই প্রেমিক বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। পরে ওই তরুণী কোনো উপায় না পেয়ে সোমবার দুপুর থেকে রবিনের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তরুণী রিতা খাতুন বলেন, দীর্ঘ ৫ বছর ধরে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক। আমার পরিবার ও সমাজের সবাই জানে রবিনের সঙ্গে আমার বিয়ে ঠিক। রবিন আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন বিয়ে করছে না। বাড়িতে ফিরে যাওয়ার আমার কোনো পথ নেই। বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি অনশন চালিয়ে যাবো। তিনি আরো বলেন, সম্পর্কের আগে রবিন আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিত সে বলতো আমার সাথে প্রেম না করলে তোকে কোচিংয়ে আসতে দেব না, সে বলতো আমি ছাত্রলীগ নেতা আমার কথায় অনেক চেয়ারম্যান মেম্বার উঠে বসে, রবিন আমাকে নিয়মিত হুমকির উপর রাখতো, আমাকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করত, এরই একপর্যায়ে তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক গড়ে উঠে আমি তাকে এখন অনেক বেশি ভালোবাসি, সম্পর্ক শুরুর পর থেকে সে আমাকে অনেক স্বপ্ন দেখিয়ে বিয়ে করবে আমি তাকে যদি বিয়ের কথা বলতাম সে তাল বাহানা শুরু করতো, আস্তে আস্তে আমার সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দিল, তার সাথে আমার কথা হলে আমি বলতাম আমায় বিয়ে কবে করবে রবিন বলতো তোকে আমি বিয়ে করতে পারবো না সমস্যা আছে এমন প্রেম তো অনেকেই করে তুই অন্য কাউকে বিয়ে করে নে আমার পক্ষে তোকে বিয়ে করা সম্ভব না। তাই আমি আজ অসহায় হয়ে রবিনের বাড়িতে আসতে বাধ্য হয়েছি আমার প্রেমের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য।
এ বিষয়ে হাতিয়ান্দহ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান চঞ্চল বলেন, আমি এলাকার ছিলাম অনশনের বিষয়টি সঠিক। মেয়েটি ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে বিয়ে দাবিতে রাজশাহী থেকে এসেছে। আমি স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, যাতে উভয় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্থানীয় ভাবে বিষয়টির মীমাংসা করে দেয়া হয়।






