চলনবিলের ধ্রুবতারা

(২৪ আগষ্ট ২০২২সালে অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ এর ১৬তম মৃত্যু বাষিকীতে )

আকাশে অনেক তারার মাঝে

কোন কষ্ট হয়না তোমাকে চিনে নিতে

চকচকে উজ্জল আলো ছড়াচ্ছো।

পথ হারা নাবিকেরা

আঁধার গহবরের মধ্যেও তোমার আলোয়

হারানো পথ ঠিকই চিনে নিচ্ছে নির্বিঘ্নে ।

 

তুমি দিনের আলোক রশ্মি

তার উজ্জলতায় পৃথিবী আলোকিত।

লক্ষ কোটি যোজন, যোজন দুর হতে

রশ্মি¦ বিচ্ছুরনের ছটায়

উদ্ভাসিত পরিচ্ছন্ন, পরিস্কার

দেখা পাচ্ছে আঁধারে হারিয়ে যাওয়া

পথের ঠিকানা – তোমার দেওয়া নিশানায় ।

 

সূর্য উদিত হলে , অস্তমিত হবেই

জন্মালে মৃত্যু অবধারিত

কোন কিছুই নয় অবিনশ্মর

এ পৃথিবীরও জন্ম হয়েছে লয় হবেই

একথা চির সত্য।

প্রকৃতির এ খেলার পরিবর্তন নাই

এ নিয়ম মেনে নিতেই হবে

আমিও বিশ্বাস করি মনে প্রানে।

 

পৃথিবী যতদিন রবে

নতুন নতুন সৃষ্টির উল্লাসে

মেতে উঠবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম

উন্মত্ত হবে অনেক জানতে

আশার আলো থেকে হঠাৎ আঁধারে

আবার আলোর শিখা পথ দেখাবে,

চলার পথে হোচট খাবে,

থামবেনা,তবুও সামনে দৌড়াবে প্রতিযোগিতায়

এগিয়ে থাকার আশায়

অনাকাঙ্খিত ধ্বংসের হাত থেকে

এ পৃথিবীকে রক্ষা করতে মরিয়া

আগামি প্রজন্মের দিকে তাকিয়ে

কিভাবে আরো উন্নত শিরে বাঁচবে ।

 

তুমি এসছিলে চলনবিলের ধ্রুব তারা হয়ে

জ্ঞানের আলোক বর্তিকা হয়ে

সুর্যের আলোক রশ্মি হয়ে , অন্ধকার থেকে

দিবালোকের পথ দেখাতে

মানবতার কান্ডারী হয়ে ।

তোমার নাই কোন সিমারেখা

তুমি অসিম সিমাহীন

গ্রাম থেকে দেশ, দেশ থেকে বহিঃ দেশ

কোথায় নাই তোমার কীর্তি ?

সবখানে রেখে গেছো তোমার হাতের ছোঁয়া

আজো স্বাক্ষী দিচ্ছে তোমার হাতের সৃষ্টি

স্মরন করিছে অকপটে সব শ্রেনির মানুষ

তুমি ছিলে, আছো থাকবে চিরদিন

যতদিন রবে এ পৃথিবী

তোমার অবদান কখনো মুছে ফেলা যাবেনা।

তুমি দিয়েছো অনেক

বিনিময়ে তোমাকে দিতে পারিনি কিছুই

ক্ষমা করো আমাদের

হে মহান ব্যাক্তিত্ব

আমরা চির ঋনী তোমার কাছে ।