গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে নদ-নদীগুলোতে ভেসে উঠছে নানা প্রজাতির পোনা মাছ। এসব পোনা ধরে বাজারে বিক্রি করছেন নদীপাড়ের লোকেরা। বিশেষ করে নন্দকুঁজা, আত্রাই, গুমানী ও তুলসীগঙ্গা নদীতে অনেক মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখা গেছে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন কারণে নদীর তলদেশে অক্সিজেনের সংকট দেখা গেছে। একারণে পোনাগুলো ভেসে উঠেছে। নদীগুলোর কিনারে গিয়ে দেখা গেছে, রুই কাতলাসহ ছোট ছোট মাছের পোনা ভেসে উঠছে। জেলেসহ স্থানীয় লোকজন জাল দিয়ে এসব পোনা ধরছেন। পরে সেগুলো তারা বাজারে বিক্রি করছেন। তাছাড়া নদীগুলোর দুই পার দিয়ে পাট জাগ দেওয়া হয়েছে। পাট পঁচে পানি বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। এর প্রভাব পড়েছে নদীতে বসবাস করা নানা প্রজাতির উদ্ভিদ ও মাছের ওপর। স্থানীয় জাকির হোসেন ও মো. মানিক বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই তারা মাছ ধরছেন। এতে তাদের পরিবারের আমিষের চাহিদা মিটছে। তবে তাদের শরীরে চর্মরোগের লক্ষণ দেখা গেছে। মৎস্যজীবি শাহজাহান আলী, ইউসুফ আলী বলেন, সাধারণত নদীতে জাল ফেলে খুব বেশি মাছ পাওয়া যায়না। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে ১৫-১৬ কেজি পর্যন্ত মাছ ধরতে পারছে তারা। তবে নদীর পানি আগের মত ভালো নেই। ইদানিং গা চুলকায়। সাবান পানিতেও চুলকানি কমছে না। চলনবিল রক্ষা আন্দোলন কমিটি গুরুদাসপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক মো. মজিবুর রহমান মজনু বলেন নাটোরের বিভিন্ন কলকারখানার বর্জ্য ফেলা হয় নদীতে। আশেপাশের মৃত জীবজন্তুর মরদেহসহ যাবতীয় নোংরা আবর্জনা নদীতে ফেলার কারণে মাছসহ জলজ উদ্ভিদের ক্ষতি হচ্ছে। এবছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। হয়নি ভারী বর্ষণ। খাল-বিলে পানি নেই। যার কারণে নদীতে ব্যাপক হারে পাট জাগ দেওয়া হয়েছে। এতে নদীর পানি বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। মৎস্য অফিস থেকে আরও জানা যায়, অক্সিজের সংকটের কারণে পোনাগুলো নদীর তলদেশে থাকতে না পেরে পানির ওপর ভেসে উঠছে। তবে সূর্য ওঠা থেকে দুই ঘন্টা সময় পর্যন্ত এসব পোনা নিধন না হলে মৎস্য সম্পদ রক্ষা পাবে।






