বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় অতিথি না করায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শাহাদৎ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বাধা প্রদান ও প্রধান শিক্ষককে লাঞ্চিত করার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার (১৫ আগষ্ট) দুপুরে জিগরী উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে এমন ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লোকমান হোসেন লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে মামলা হিসেবে গ্রহণ করে মডেল থানা। আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমানের দাবী শিক্ষককে লাঞ্চিত বা অনুষ্ঠানে বাধা দেয়ার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি তাদের অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন ।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে জিগরী উচ্চ বিদ্যালয়ে এক মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমানকে অতিথি করা হয়নি। তারই জের ধরে ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠান চলালাকালীন সময় দুপুর ১২ টার দিকে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমানের খালাতো ভাই শামীম, শাহজাহান আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম, বিলগোপালহাটী গ্রামের খয়ের উদ্দিনের ছেলে ইউসুফ আলী, ইউনুস আলীর ছেলে ইমন আলীসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জন । এসময় তারা প্রধান শিক্ষককে অশালীন ও অকথ্য ভাষায় আক্রমনাক্তক ভাবে হুমকি দেন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শাহাদৎ বার্ষিকী অনুষ্ঠান করতে দিবেনা এমন প্রকাশ্য হুমকি দেয়। এসময় প্রধান শিক্ষকের চিৎকারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আমিরুল ইসলাম টারজানসহ অনেকেই এসে অভিযুক্তদের হাত থেকে প্রধান শিক্ষকের জীবন রক্ষা করে। ওই শিক্ষক দাবি করেন এমন ঘটনায় তার মান সম্মানের ব্যাপক ক্ষতি হয় ।
এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাগাতিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান বলেন, ওই দিন প্রধান শিক্ষককে লাঞ্চিত বা বঙ্গবন্ধুর অনুষ্ঠনে বাধা দেয়ার মতো কোন ঘটনাই ঘটেনি। তাদের দায়ের করা অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। অনেকের কাছে ভিডিও ফুটেজ আছে সেখানে কি ঘটেছিল তা স্পষ্ট তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই না। এছাড়া দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত ৪জন বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষকের দায়ের করা অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছি। আসামীদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যহত আছে। অভিযুক্তদের জামিনের বিষয়ে তিনি বলেন, লিখিত এমন কাগজ এখনো হাতে পায়নি।






