শিশুর জন্ম থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সরকারি নিয়মানুযায়ী জন্ম নিবন্ধনের কোন ফি আদায় করা হয়না। তবে শিশুর ৫ বছর পর্যন্ত বা তার ওপরে সব বয়সীদের থেকে ৫০ টাকা করে ফি নেওয়ার নিয়ম করে দিয়েছে সরকার। তবে সরকারের এই নিয়ম মানছেন না বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের উদ্যোক্তা মোঃ জিল্লুর রহমান, সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজেই নতুন নিয়ম করেছেন। সে নিয়মে প্রতি জন্ম নিবন্ধনে ২০০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন উদ্যোক্তা নিজেই, এ অভিযোগ ইউনিয়নের ভুক্তভোগীসহ স্থানীয়দের। বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ গিয়ে, সরেজমিনে এমন অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে। জন্ম নিবন্ধন করতে আসা ব্যক্তিদের নিকট থেকে নেওয়া হচ্ছে দুই থেকে পাঁচশত টাকা এবং রসিদ দেয়া হচ্ছে ৫০ টাকার। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ৫০ টাকার রশিদ দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ। ভুক্তভোগীরা উদ্যোক্তার কাছে অতিরিক্ত টাকার নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে, বিভিন্ন খাত দেখিয়ে মিলিয়ে দেন বাড়তি টাকার হিসাব। অত্র ইউনিয়নের এক ভুক্তভোগী আনোয়ারা খাতুন বলেন আমার নাতির জন্ম নিবন্ধনের জন্য ৯০০ টাকা নিয়েছে ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও জন্ম নিবন্ধনের কাগজ দেননি বলে তিনি জানান। এছাড়াও আরেক ভুক্তভোগী আব্দুল হামিদ জানান, আমি আমার নাতির নিবন্ধন করতে দিয়েছিলাম, আমার কাছ থেকে নিবন্ধনের জন্য ৪৫০টাকা নিয়েছে কিন্তু কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও জন্ম নিবন্ধনের কাগজ দেননি জিল্লুর রহমান, নিবন্ধনের কাগজ ছাড়া আমার নাতিকে স্কুলে ভর্তি করতে পারছিনা। এ অনিয়ম গুলো দেখার কেউ নেই বলে দাবি জানান স্থানীয়রা। ২নং বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মোঃ জিল্লুর রহমানের কাছে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল। এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মমিন আলী জানান ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মোঃ জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে শতশত অভিযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মারিয়াম খাতুন কে অবগত করা হয়েছে। এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ মারিয়াম খাতুন বলেন, ডিজিটাল সেন্টারের অস্থায়ী উদ্যোক্তা মোঃ জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে, তিনি আরো জানান জন্ম নিবন্ধন এর অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই, সরকার নির্ধারিত ফি এর বাইরে কোনো অতিরিক্ত ফি যদি তারা আদায় করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।