লালপুর প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুরে কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছেনা ফসলি জমিতে পুকুর খনন। সরকারী নিয়ম তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্য দিবালোকে এবং রাতের অন্ধকারে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৩০-৩৫ টি স্থানে দেদারছে চলছে পুকুর খনন। প্রতি দিনই মাটি খেকোদের পেটে যাচ্ছে শত শত বিঘা ফসলি জমি। আর এসব পুকুর খনন করছে এলাকার প্রভাবশালী মহল। এসব ফসলি জমির মাটি চলে যাচ্ছে ইট ভাটায়। আর এসব ইট ভাটাগুলোও অবৈধ্য। বছরের পর বছর এসব অবৈধ্য ইট ভাটা চললেও সেগুলো বন্ধে কার্যত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় উপজেলার প্রায় ৩০-৩৫ টি স্থানে ফসলি জমিতে পুকুর খনন চলছে। খননকৃত এসব ফসলি জমির মাটি অবৈধ্য ট্রাক্টরের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইট ভাটায়। এতে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে মাটি পড়ে বৃষ্টিতে পিচ্ছিল কাদা এবং রোদে ধুলায় মাখামাখি হতে হচ্ছে চলাচলকারীদের। ফসলি জমিতে পুকুর খননের ফলে দিন দিন কমে যাচ্ছে ফসলি জমি। খোঁজ নিয়ে যানা যায়, উপজেলায় প্রায় ৩২ টি অবৈধ্য ইট ভাটা রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এসব ইট ভাটা চললেও সেগুলো বন্ধের জন্য কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।
ফসলি জমিতে পকুর খননের বিষয়ে উপজেলার বিশম্বপুর গ্রামের কৃষক সোলেমান হোসেন জানান, এ দেশে অবৈধ্য সুবিধা দিলে সব সম্ভব, কিন্তু বৈধ্য পথে বৈধ্য কাজও অসম্ভব। আমার একটি বড় পুকুর আছে যেটি সংস্কারের জন্য কাজ শুরু করলে প্রশাসন তা বন্ধ করে দেয়, অথচ ভূমিদস্যুরা ফসলি জমিতে অবৈধ্যভাবে পুকুর খনন করে মাটি ইট ভাটায় বিক্রি করছে, প্রশাসন তাদেরকে মাটি খনন করতে বাঁধা সৃষ্টি করছে না এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণও করছে না।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা নিষিদ্ধ, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় কে অবগত করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি শাম্মী আক্তার বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা বলেন, ভেকু চলাকালীন অবস্থায় আপনারা খবর দিবেন। অ্যাকশন নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।






