লালপুর প্রতিনিধি: গত কয়েকদিন ধরে নাটোরের লালপুরে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। তীব্র শীত একটানা ঘনকুয়াশা ও হিমবাহ প্রবাহিত হওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। হাড় কাপাঁনো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের জীবনযাত্রা। শীত বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে মজুর ও ছিন্নমূল মানুষের। সব চেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে এই উপজেলার শিশু ও বৃদ্ধরা। এই দিকে শীত জেঁকে বসায় প্রতিনিয়তই ঠান্ডাজনিত সর্দি, কাশি ও হাঁপানিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে উপজেলার শিশু ও বৃদ্ধরা। এতে সর্দি, কাশি ও হাঁপানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। উপজেলার অধিকাংশ এলাকা ও রাস্তার পাশে খড়কুটা দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায় অনেককে। দুপুর পর্যন্ত উপজেলা জুড়ে ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকায় রাস্তা ঘাটে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। শীতের প্রকোপে স্কুল-কলেজ গুলিতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো কম। এদিকে শীত বেড়ে যাওয়ায় ভীড় বেড়েছে ফুটপাতের পুরাতন গরম কাপড়েরর দোকান গুলিতে।
মিলন আহম্মেদ নামের এক ভ্যান চালক বলেন, ‘আমরা দিন আনি দিন খাই। একদিন ভ্যান না চালালে আমার সংসার চলে না। গত তিন দিন যাবত ঘনকুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে হাত পা অবশ হয়ে আসছে। তার পরেও জীবিকার তাগিদে শীতের মধ্যেই ভ্যান চালাতে হচ্ছে।’ মজনু নামের এক দিনমুজুর বলেন,‘ তীব্র শীত আর ঘনকুয়াশার কারণে আমরা ক্ষেতে যেতে পারছি না। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। ছেলে সন্তান নিয়ে এখন চলাই মুশকিল।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ কে এম শাহাবুদ্দিন জানান, ‘লালপুরে তীব্র শীতের কারণে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত সর্দি, কাশি ও হাঁপানি রোগে আক্রান্ত রোগী বেশি ভর্তি হচ্ছে।’
লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী জানান, ‘ইতিমধ্যে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আরো শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।’ আবহাওয়া অফিস বলছে, শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পাবে।