লালপুর প্রতিনিধি:
বছরের শুরুতেই হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। বছরের অন্য সময় তেমন দেখা না মিললেও শীত বাড়ায় নাটোরের লালপুর উপজেলা জুড়ে ফুটপাতের পাশে গড়ে ওঠেছে ভ্রাম্যমাণ পুরাতন এসব গরম কাপড়ের দোকান। সারা বছর শীতের জন্য অপেক্ষা করে এই সব পুরাতন কাপড় বিক্রেতারা। লালপুরে হাঠাৎ করেই বেড়েছে শীত। আর এ কারণে ফুটপাতের দোকানগুলোতে পুরাতন কাপড় কিনতে ভীড় করছে নিম্ন আয়ের মানুষজন।
উপজেলা পরিষদ চত্বর, গোপালপুর কড়ইতলা, ওয়ালিয়া বাজারসহ বেশ কিছু স্থানে ফুটপাতে মাদুর বিছিয়ে অস্থায়ী দোকানে এসব পুরাতন গরম কাপড় বিক্রি করা হচ্ছে। শীত বাড়ায় দোকানগুলিতে জমে উঠেছে বেচা-বিক্রি। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এবার দাম একটু বেশি হাকা হচ্ছে বলে জানায় ক্রেতারা। এই সব দোকানগুলিতে প্রতি পিস শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে সর্বনিম্ন ৪০ টাকা থেকে তিনশত টাকা পর্যন্ত। শীত বাড়লে এই দাম আরও বাড়বে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা।
সকাল থেকে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ফুটপাতের এসব দোকানের বেশির ভাগ ক্রেতাই দরিদ্র। তাদের অধিকাংশ পরিবার দিন আনে দিন খায়। যে দিন তারা কাজ করতে পারে না সেদিন অনেকের ঘরে উনুনই জ্বলে না। তবে অনেক সময় হাইপ্রোফাইল ক্রেতারও দেখা মেলে এসব দোকানে।
এসময় পুরাতন গরম কাপড় কিনতে আসা আবু বক্কর জানায়, ‘শীত নিবারনের জন্য নতুন কাপড় কেনার সামর্থ্য তার নেই। পুরাতন কাপড়ের দোকানে ছোট বড় সব বয়সী মানুষের কাপড়ের দাম নাগালের মধ্যে থাকায় এখান থেকে তিনি কাপড় কিনছেন। তবে গত বছরের চেয়ে এবার দাম একটু বেশি।’
পুরাতন কাপড় বিক্রেতা রুবেল জানান, ‘তিনি মৌসুমী ব্যবসায়ী। প্রতিবছরই এই সময়ে শীতের কাপড় বিক্রি করেন তিনি। শীত একটু বাড়লেই ব্যবসা ভালো হয়। সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তার বেচাকেনা চলে। যারা নামীদামি মার্কেট থেকে গরম কাপড় কিনতে পারে না তারাই এই দোকানে ভীড় জমায়। তিনি আরো বলেন, ‘তারা ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পুরাতন কাপড়েরর বেল কিনে আনেন। বেলের ভেতর অনেক কাপড়ই নষ্ট থাকে। তারপরেও এবার সব জিনিসের দাম বাড়ার কারণে এবার গরম কাপড়ের দামও একটু বেশি।’
আবহাওয়া অফিস বলছে, ‘হিমেল হাওয়ার কারণে এই উপজেলায় বেশ কয়েকদিন ধরে শীতের তাপমাত্রা বেড়েছে। তবে বছরের শুরুতেই উপজেলায় শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’






