তোমার আমার আমাদের তাহাদের ভেতরেই বাউণ্ডুলেদের বাস। চিন্তা, চেতনা, খামখেয়ালিপনা, কিছুটা উড়নচণ্ডী হলেও মস্তিষ্ক তাদের খুল্লাম খুল্লা। সবকিছুর বাইরে তাদের মনোজগৎ। নিয়ম ভেঙে নতুন নিয়ম গড়ার চিন্তায় মশগুল থাকাই তাদের স্বভাবের একটা দিক মাত্র। বাউণ্ডুলেদের খুঁজে পাওয়া যায়, কৃষকের মধ্যে, শ্রমিক এর মধ্যে, শিক্ষক, ডাক্তার, রাজনিতীবিদ, আমলা থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে বাউণ্ডুলে।
জন্ম মৃত্যু, জীবনযাপন, সমাজব্যবস্থা, রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, ইতিহাস ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ধর্ম, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ইত্যাদি বিষয় এর ভেতর এর খবরা-খবর, দখল লুটপাট অনিয়ম এরকম হাজারো প্রশ্ন, এর থেকে সমাধানের উপায়, তাদের মগজে ঘুরপাক খায় অনবরত। সমস্ত অনিয়মকে নিয়মে চালানোর উপায় খুঁজে বের করার জন্য জীবন বাজি রেখে এগিয়ে যায় বাউণ্ডুলেরা। তাদের নিজেদের দিকে তাকানোর সময় কোথায়? এ এক অন্যরকম চরিত্র, এটা অন্যরকম ভিন্নতা, এ সবকিছু নিয়মের বাইরে আর এক নিয়ম। সময় কে হাতের মুঠোয় পুরে পিন পয়েন্ট এ আঘাত করতে জানে বলেই তারা বাউণ্ডুলে। তারা তোমার কথা ভাবে, আমার কথা ভাবে, এলাকা নিয়ে ভাবে, শহর ভাবে বন্দর ভাবে, দেশ নিয়ে ভাবে, পুরো দেশের মানচিত্র নিয়ে ভাবে। কে মানচিত্র খাঁমচাবে, কে খাঁমচানোর পাঁয়তারা করছে এগুলো নিয়ে মগজের ঘিলু ঘাটাঘাটি করে সঠিক সিদ্ধান্ত এ পৌছানোর বিষয়ে সময়ের আগেই তাদের চিন্তা চেতনা কাজ করে। চোখে আঙুল দিয়ে জাতির ক্ষত দেখিয়ে দেয়ার সাহস বাউণ্ডুলেদেরই থাকে। সময়ের স্রোত এ গা ভাসাতে সবাই পারে, কিন্তু স্রোত এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারে বাউণ্ডুলেরাই। জাতির দুর্দিনের কাণ্ডারী তাঁরাই।
যুগে যুগে এই সমস্ত বাউণ্ডুলেদের ভেতর থেকেই উঠে আসে এক একটা জাতীয় বীর, আমরাই তাদের নেতা বানাই, নেতা মানি।
বাউণ্ডুলেদের হিসেবের বাইরে রাখতে নেই, ভুল হয়ে যাবে।