গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: ৬ মিলি সিলকোড করা হচ্ছে। ভালোভাবে বিটুমিন মিশানো পাথর রোলিং করা হয়নি। সড়কজুড়ে উঁচু-নিচু স্পকেট (গর্ত)। ঠিকমতো বেড না করেই সড়কের পাশের কিছু অংশ বাদ রেখেই চলছে সিল কোডের কাজ। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এমন এলোপাথারি ভাবেই ১৮শ মিটারের একটি সড়ক জোড়াতালি দিয়ে করা হচ্ছে সংস্কারের কাজ।
কাছিকাটা-হালসা সড়কের গুরুদাসপুর পৌর সদর অংশের ‘নারীবাড়ি বয়েজ হাজীর সুটার মিল হতে ফায়ার সার্ভিস’ পর্যন্ত সড়কটির সংস্কার কাজ চলছে এমন নাজুকভাবে।
নাটোর সড়ক ও জনপথ অফিস জানিয়েছে- ১৮শ মিটার সড়ক সংস্কারের ওই কাজটি পেয়েছে নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পিংকি কন্সট্রাকশান। সিলকোডের এই কাজটির ব্যয় বরাদ্ধ ধরা হয়েছে প্রায় ১৯ লাখ টাকা। এতে ১২ মিলি উচ্চতায় সিলকোড করার কথা রয়েছে।
গুরুদাপুর থানা চত্বরের মুক্তার আলী, আব্দুল আলিম, স্বপন দাস, আলতাব হোসেনসহ অন্তত দশজন স্থানীয় ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন- সড়কের কিছু কিছু অংশে পিচ পাথর ছিটিয়ে কোনমতে রোলিং করা হচ্ছে। এতে করে সড়ক সমতলের পরিবর্তে হচ্ছে উঁচু নিচু। সড়কটির সংস্কার কাজ যেভাবে করা হচ্ছে তাতে দুর্ভোগ আরো বাড়ছে। এমন অনিয়মের কারণে সড়কটির ভবিষৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান- ১২ মিলি সিলকোডের কাজে সর্বোচ্চ ১০ মিলি পাথর ব্যবহার করা হয়। এই কাজে যে পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে তা ৩ থেকে ৪ মিলির উর্দ্ধে নয়। তাছাড়া প্রীগ্রাবেল পাথরের সাথে ডোমার বালু মিশিয়ে বিটুমিন তৈরি করা হচ্ছে। এতে সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৭ মিলি সিলকোডের কাজ হতে পারে।
বুধবার সরেজমিনে দেখাগেছে- সড়কের ভাঙ্গাচোড়া অংশ ঠিকমতো পরিস্কার করা হয়নি। রাতের বেলা টর্চ লাইটের আলোয় নি¤œমানের (ইরানী ৬০/৭০) বিটুমিন ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া তিন কিলোমিটার দুর থেকে ওই বিটুমিন আনায় বিটুমিনের কার্যকারিতা নষ্ট হচ্ছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পিংকি কন্সট্রাকশানের স্বত্বাধীকারি মো. আশফাক বলেন, সেমি গ্রাউটিং করার কথা ছিলনা। অফিসের পরামর্শে অতিরিক্ত সেমি গ্রাউটিং করা হয়েছে। একারণে অফিসের নির্দেশেই ১২ মিলি সিলকোডের জায়গায় তা কমিয়ে করা হচ্ছে। এই কাজে অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়নি।
নাটোর সড়ক ও জনপথ অফিস বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম জানান, ‘সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিবেন।’