এম এম আলী আক্কাছ, গুরুদাসপুর: তিন কিলোমিটারের একটি গ্রামীণ সড়ক সংস্কারে নিন্মমাণের খোয়া, বালি ও পাথর ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিন্মমাণের সামগ্রীতে সড়কটির সংস্কার কাজ চললেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে সড়কের স্থায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় মধ্যমপড়া হতে চলনালী এলাহী মোড় পর্যন্ত ওই তিন কিলোমিটার সড়কের অবস্থান।
স্থানীয়দের অভিযোগ- চাঁচকৈড় বাজার হতে নয়াবাজার মহাসড়কে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ওই সড়কটি ব্যবহার করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় পিচ উঠে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চলাচলে ব্যপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
এলজিইডি অফিস জানায়- স্থানীয়দের দূর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় এনে সড়কটি সংস্কারের জন্য ৬৯ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্ধ ধরা হয়েছে। ট্রেন্ডারের মাধ্যমে সংস্কার কাজটি পেয়েছে নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল্লাহ এন্টারপ্রাইজ।
স্থানীয়দের অভিযোগ- দুর্ভোগ লাঘবে সড়কটির সড়ক সংস্কার শুরু হলেও অত্যন্ত নিন্মমাণের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া পুরো সড়ক আলগা করে খোয়া দেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। অথচ বোল্ডার ভাঙ্গা কুচি পাথর ও পিকেট ইটের খোয়া ব্যবহারের কথা। কিন্তু ঠিকাদার প্রভাবখাটিয়ে এসব নিন্মমাণের সামগ্রী ব্যবহার করে সড়কটির সংস্কার কাজ চালাচ্ছেন।
সরেজমিনে শনিবার সকালে গিয়ে দেখা গেছে-ভগ্ন ওই সড়কটি সংস্কারের আগে চাষ দিয়ে আলগা করা হয়নি। কোনমতে পোড়া মাটি ইটের খোয়া, মাটি মিশ্রিত বালি দিয়ে দায়সারা কাজ করা হয়েছে। এছাড়া নিন্মমাণের পাথর পিচ ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহারের জন্য স্তুপ করে রাখা হয়েছে। সড়কের চলনালী এলাহীর মোড় পয়েন্টে চুলা তৈরি করা হচ্ছে। রোববার থেকে ওই পাথরেই পিচ ঢালাই করা হবে।
তবে আব্দুল্লাহ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. ইমরান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- নিয়ম মেনে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী আ,ন,ম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন- বিষয়টি নজরে আসার পর সড়কটির সংস্কার বন্ধে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কোনভাবেই নিন্মমাণের সামগ্রীতে সড়ক সংস্কার করা হবে না।
নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন- ইতিমধ্যে সড়ক থেকে নিন্মমাণের সামগ্রী সরিয়ে নিতে ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। নিন্মমাণের সামগ্রী অপসারণ না করা পর্যন্ত কাজ করতে দেওয়া হবে না।