8.9 C
New York
Friday, August 8, 2025
No menu items!
HomeUncategorizedএমপি যেন দেখতে পায়!

এমপি যেন দেখতে পায়!

নাহিদ হোসেন: আমারে পেপারে তুলে দাও ভাই এমপি যেন দেখতে পায়। পাড়ার সবাই সরকার থাকি ট্যাকা পায়। আর আমারে কেউ দেখতে পায়না। আমার থাকি বয়সে ছুটু কতজন বয়স্ক ভাতার ট্যাকা পায়। আর আমার একটা কার্ড কেউ করি দেয় না। আমার ব্যাটা মানষের কামলা দিয়া সংসার ই চালাতে পারে না। একটা মাত্র নাতি তাউ প্রতিবন্ধী, বড় হচ্ছে না, বুদ্ধি নাই, কাম কাইজ ও করতে পারে না। ব্যাটা একলা কামলা দিয়া চারজনের সংসার চালায়। সংসার যদি ওষুধ কিনার ট্যাকা দিলিনি তাউ একটু উপকার হলিনি। নাতিটার জন্য একটা প্রতিবন্ধী কার্ড দিলে তাও একটু উপকার হলিনি। বিশ বছর আগে স্বামী ডা মারা গিছে। কত ছোট ছোট মেয়েরা বিধবা ভাতার ট্যাকা পায়। আর আমি পাবো না ক্যা। মেম্বার চেয়ারম্যান কয় আমরা নাকি বড়লোক। বড়লোক কোনদিন কামলা খাটে কওতো দেখি। মানুষ কয় পেপারে ছাপলে নাকি আমরা ট্যাকা পাবো। এমপি দেখলে নাকি ট্যাকা দেয়। আমারে দাতী-নাতির একটা ছবি তুলে পেপারে দাও ভাই। এমপি যেন দেখতে পায়। এভাবেই কথা গুলো স্থানীয় এক সাংবাদিককে বলছিলেন নাটোরের লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের শতবর্ষী বৃদ্ধা মোমেনা খাতুন। তিনি ঐ গ্রামের মৃত তুরাপ প্রামানিকের স্ত্রী। তার একমাত্র ছেলে ছেলে দুলাল প্রামানিক অন্যের জমিতে দিনমজুরি করে কোন রকমে সংসার চালায়। একমাত্র নাতি সজিব প্রামাণিক শারীরিক প্রতিবন্ধী। তিন বেলা ভাত কোন রকমে জুটলেও বার্ধক্যজনিত রোগের চিকিৎসা ও ওষুধ জুটেনা বৃদ্ধা মোমেনা খাতুনের। মোমেনা খাতুনের বয়স ৯৫ বছর। চোখে মুখে হতাশার ছাপ। নিজের বয়স্ক ভাতা ও নাতির জন্য প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করতে চেয়ারম্যান মেম্বারের কাছে বারবার গেলেও ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে। অসংখ্যবার ছবি ভোটার আইডি কার্ড নিলেও জুটেনি ভাতার টাকা। ২০১৯-২০ অর্থ বছরের ভাতাভোগী বাছাইয়েও অংশগ্রহণ করেছেন মোমেনা খাতুন। কিন্তু মৃত্যুর আগে ভাতা কার্ড দেখে যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ মোমেনা খাতুনের।

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments